1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
কেএনএফের হামলার আশঙ্কায় বান্দরবানে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
প্রবীণ আবছারের সঙ্গে পেরে উঠল না মুজিব উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকের পরাজয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রোমেনা আক্তার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত সদরে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত কুতুবদিয়া উপজেলায় ব্যারিস্টার হানিফ চেয়ারম্যান নির্বাচিত ১০ ও ১১ মে দুই দিনব্যাপী কক্সবাজারে বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা : অংশ নিচ্ছে ৩০০জন বলী সদর উপজেলা নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর : বিজয়ের পথে নুরুল আবছার কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনারস প্রতীকের বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল প্রার্থী নুরুল আবছারের কক্সবাজারে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু মেরিন ড্রাইভ প্রশস্তকরণ প্রকল্পে কাটা পড়বে সাড়ে ৬ হাজার গাছ

কেএনএফের হামলার আশঙ্কায় বান্দরবানে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস

  • আপলোড সময় : মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩
  • ১২০ জন দেখেছেন

সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) গুপ্ত হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বান্দরবনজুড়ে। এ কারণে জেলাটিতে ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলা। কিন্তু ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষণার পরও পর্যটকের দেখা মেলেনি বান্দরবানের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে। ঈদের টানা পাঁচ দিনের ছুটিতেও পর্যটকশূন্য ছিল পাহাড় কন্যা বান্দরবান। কেএনএফ’র গুপ্ত হামলার আশংকায় কেউ সেখানে যেতে চাচ্ছেন না। এমন আতঙ্কের মধ্যে বান্দরবান জেলাধীন রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউপির ক্যাপলং পাড়া সংলগ্ন এলাকায় কেএনএফ এর একটি সশস্ত্র দল সরকারিভাবে নির্মিত একটি রাস্তায় বড় গর্ত খুঁড়ে যানবাহন চলাচল ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এতে জনগণের মাঝে আতঙ্ক আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ী, পাহাড়ি ও বাঙালি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ কে সমূলে নির্মুল করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটবে। সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। শুধু পার্বত্য অঞ্চলের বাসিন্দারাই নয়, সীমান্তবর্তী দুটি দেশ ভারত ও মিয়ানমারের জন্যও নাথান বম ও তার সশস্ত্র দল চরম হুমকিস্বরূপ। সময় থাকতে কেএনএফএর অপতত্পরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নাই বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, কেএনএফ শুধু বান্দরবান নয়, পুরো দেশের জন্যই একটি হুমকি। তারা এতো অস্ত্র পায় কোথায়? বহিঃবিশ্বের কোন কোন দেশ অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে কিনা-সেই প্রশ্নও দেখা দিয়েছে অনেকের মাঝে। মূলত জেএসএস (মূল) এর ছত্রছায়ায় রয়েছে কেএনএফ। তবে পার্বত্যাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে বলে জানান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

খুমি, লুসাই, খেয়াং, পাংখোয়া, ম্রো-এই পাঁচ সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ের নামে জেএসএস প্রধানের হাত ধরে ও তার প্রশ্রয়ে কেএনএফ প্রতিষ্ঠা করেন নাথান বম। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের নামে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে গহিন অরণ্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন তিনি। জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে চুক্তিও স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু সেই কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। র?্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সেই প্রশিক্ষণ আস্তানা তছনছ হয়ে যায়। জঙ্গি প্রশিক্ষণের ঘটনা ধরা পড়ার পর নাথান বমের একের পর এক অপকর্মের কাহিনী প্রকাশ পেতে থাকে। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের সাথেও নাথান বম সরাসরি জড়িত। এখনো তারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অবৈধ অস্ত্রের যোগান পাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাড়াশি অভিযান চালিয়ে কেএনএফ’র সব ঘাটি দখলে নিয়েছে। কিন্তু এখনো তারা গহীণ অরণ্যে আত্মগোপনে থেকে গুপ্ত হামলা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ জানান, কেএনএফকে নির্মুল না করা পর্যন্ত বান্দরবানে আতঙ্ক কাটবে না। প্রতি বছর ঈদের টানা ছুটিতে পাহাড় প্রেমীদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠে পর্যটন নগরী বান্দরবান। হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোও থাকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আগাম বুকিং এর কারণে অনেক ক্ষেত্রে পর্যটকদের রুম দিতে হিমশিম খেতে হয় হোটেল মালিকদের। কিন্তু এ বছর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। ঈদের টানা পাঁচ দিনের ছুটিতেও পর্যটকশূন্য ছিল বান্দরবান। শুধু তাই নয় ৫০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেও পর্যটক মিলছে না বলে জানিয়েছেন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের মালিকরা।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, গত শনিবার বেলা ৩টার দিকে বান্দরবান জেলাধীন রোয়াংছড়ি সদর ইউপির ৬নং ওয়ার্ড ক্যাপলং পাড়া সংলগ্ন দেবতা পাহাড় তিন রাস্তার মোড়ে ১০ থেকে ১২ জন সদস্যবিশিষ্ট কেএনএফ এর একটি সশস্ত্র দল এসে হাজির হয়। পরবর্তীতে সশস্ত্র দলটি ক্যাপলং পাড়া হতে পাইক্ষ্যং পাড়া যাওয়ার পথে চাপ প্রয়োগ করে স্থানীয় গরিব কৃষকদের দিয়ে ব্রিকসলিং রাস্তার মাঝ বরাবর একটি গর্ত খোঁড়ে। ধারণা করা হচ্ছে ক্যাপলং পাড়া, পাইক্ষ্যং পাড়া এবং খামতাং পাড়ায় কেএনএফ এর অবাধ চাঁদাবাজি, অপহরণ ও স্থানীয় জনসাধারণের উপর চালানো নির্যাতনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সময়ে যেন ঐসব এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে না পারে মূলত সেই উদ্দেশ্যেই তারা রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

রোয়াংছড়ি উপজেলায় কেএনএফ এর কিছু সশস্ত্র দল প্রায়শই উপজেলার বিভিন্ন বম পাড়া ও তার আশপাশের এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চাঁদা উত্তোলন, শ্রমিক অপহরণসহ অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করার লক্ষ্যে ঐ এলাকায় অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছে। প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারিভাবে নির্মিত এই রাস্তাটি ব্যবহার হতো সেখানে বসবাসকারী জনসাধারণের দৈনন্দিন যাওয়া আসা ও উত্পাদিত কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের কাজে। কেএনএফ এর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে একদিকে যেমন সরকারি সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয় জনসাধারণের জীবনমানের উন্নয়নে নেমে আসছে কালো ছায়া। দ্রুত সময়ে এই রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঐ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ। ইত্তেফাক

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

ডাঃ কবীর উদ্দিন আহমদ

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR